প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। হাদিসে কালোজিরাকে মৃত্য ব্যাতিত সকল রোগের ঔষধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শুধুমাত্র চিকিৎসায় নয়, বরং খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি আর সৌন্দর্য রক্ষায়ও কালোজিরার ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে একধরনের তেল তৈরি হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কালোজিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান যা হাজারও উপকার করে। কালোজিরার তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, হৃদরোগজনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায়। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে, শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, হজম সমস্যা দূরীকরণে, লিভারের সুরক্ষায়, দেহের সাধারণ উন্নতি, রুচি বাড়াতে কালোজিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কালোজিরার তেলে রয়েছে খিদে বাড়ানোর উপাদান। অন্ত্রের জীবাণুকে নাশ করে শরীরের জমে থাকা গ্যাসকেও দূর করতে কালোজিরার তেলের বিকল্প নেই। মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্ক্রিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা অব্যর্থ উপযোগী দাওয়াই। তারুণ্য ধরে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে কালোজিরা খাওয়াটা দীর্ঘদিনের রীতি। কাজ করার শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে এই কালোজিরা।