Description
- খেজুরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম রয়েছে। আঁশের জোগানও যথেষ্ট। তাই এ ফল ডায়েটে রাখতে পারলে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান সহজেই মেলে।
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়া। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
- প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তস্বল্পতা রয়েছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে খেজুর খুবই প্রয়োজনীয়। রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
- যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির অন্যতম সেরা বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়। খেজুরের গুড় চিনির পরিবর্তেও অনেক সময় ব্যবহার করা হয়।
- খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।
- হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে খেজুরের ভেতরে থাকা নানা খনিজ। তাই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও এই ফল উপকারী।
- খেজুরে থাকা সোডিয়াম রক্তের চাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ডায়াটে খেজুর রাখা উচিত।
- খেজুর যৌন ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরে এস্ট্রাডিওল (estradiol) ও ফ্ল্যাবহনয়েড (flavonoid)-এর মাত্রা অনেক বেশি থাকে বলে তা শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় ও যৌন্য সজীবতা বাড়ায়। ঠিক এই কারণেই যুগ যুগ ধরে খেজুরকে যৌনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
- খেজুর পেটের জন্য খুব উপকারী ও পেট পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। খেজুরে থাকা ফাইবার যেমন কোষ্টকাঠিন্য দূর করে তেমনই পেটের ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে। নিয়মিত খেজুর খেলে খাদ্যনালীতে প্যাথোজেন তৈরি হতে দেয় না ও উপকারী জীবাণু তৈরিতে সহায়তা করে। প্যাথোজেন হল একধরণের জীবাণু যা শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
- খেজুরে বিভিন্ন ক্ষতিকর চর্বি যাকে ইংরেজিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স ফ্যাট বলা হয় সেসব থাকে না। এছাড়া খেজুরে সোডিয়াম কিংবা কোলেস্টরল থাকে না বলে খেজুর হৃদযন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া খেজুর শরীরের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কম করতেও সাহায্য করে। খেজুরে পটাসিয়াম থাকে বলে হৃদ কম্পন ঠিক রাখে ও রক্তচাপ কম করে। ফলটিতে অনেক পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে ও অনেক কম সোডিয়াম রয়েছে বলে স্নায়ুর পক্ষে খেজুর খুব ভালো।
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার যা রক্তের সঙ্গে মিশে যায় আবার যেগুলো মেসে না এই দুইধরনের ফাইবারই পাওয়া যায় খেজুরে। ফাইবার আমাদের শরীরের রক্তশর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের পেটও অনেক্ষন ভরা থাকে। রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে ও খাদ্যনালীকে সুস্থ রাখে।
- খেজুরে পলিফেনোলস নামে একটি আন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমরা গাছ থেকে পাই। এই আন্টিঅক্সিডেন্টটি আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলি বার করে দিয়ে শরীরকে পরিষ্কার রাখে তাই শরীরে কোথাও কোনও অবাঞ্চিত ফোলা ভাব দেখা দেয় না। খেজুরের আন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর রাডিক্যালের মাত্রা কম করে ও খাবার থেকে আমাদের শরীর যে পুষ্টিগুলো পায় সেগুলি শরীরকে আরও ভালো ভাবে পেতে সাহায্য করে। এর ফলে ক্যান্সারের আশঙ্কা কম করে। তাই জন্যেও মধ্যপ্রাচ্যের বেদুইনরা প্রত্যেকদিন অনেক খেজুর খান বলে বিশ্বে যেসব দেশগুলিতে ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক কম তাদের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যও পরে।
There are no reviews yet.